অভিযুক্ত মো. শাহাদাত হোসেন লাবন জামালপুর সদর উপজেলার পূর্ব ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে এবং তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের মো. জহির উদ্দিনের মেয়ে মোছা. জীবনা আক্তার পপির বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী জামালপুর সদর উপজেলার পূর্ব ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেন লাবনের সাথে। বিয়রে কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে পপিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে শাহাদাত। এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পপির বাবার বাড়িতে এসে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন লাবন।

ওই ঘটনায় একই বছরের ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদরের সি. আর আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে শাহাদাত হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন পপি। ওই মামলায় জামিনে যাওয়ার পর মামলার বাদি পপিকে মারধর করায় শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরও একটি পৃথক মামলা দায়ের করেন পপি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।